চট্টগ্রামে নিজস্ব শিল্পাঞ্চল চায় চীন

চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলকেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে এখানে নিজেদের বিনিয়োগের জন্য আলাদা শিল্পাঞ্চল চেয়েছে চীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2014, 01:20 PM
Updated : 25 March 2014, 01:20 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে এক সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের প্রতি আগ্রহের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন।

‘বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) ইকোনমিক করিডোর’ বিষয়ক সেমিনারে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র। আর আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে বাংলাদেশ হবে ব্যবস্থার কেন্দ্রস্থল।”

“চট্টগ্রাম ও চীনের কুনমিং হল ‘সিস্টার সিটি’। শত শত চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে আসে। তাদের জন্য আমরা এখানে একটা আলাদা ইকোনমিক পার্ক চাই এবং সেটা অবশ্যই চট্টগ্রামে।“

লি জুন জানান, চট্টগ্রামে বিসিআইএমের দ্বিতীয় যৌথ সমীক্ষা বিষয়ক সভায় একটি ‘ইকোনমিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার কর্মকৌশল নির্ধারণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

“এইকরিডোরের অধীনে যোগাযোগ ও জ্বালানি সংক্রান্ত বড় প্রকল্পগুলো গৃহীত হতে পারে। জ্বালানি করিডোরের অধীনে তেল-গ্যাস পাইপলাইন ও বিদ্যুৎ যোগাযোগ অর্ন্তভুক্ত থাকবে।”

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের কুনমিংয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে একা কেউ উন্নতি করতে পারবে না। অতীতে সাবমেরিন কেবলসহ অনেক সুযোগ আমরা হারিয়েছি। ”

চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট নিরসনে গ্যাস আমদানির বিষয়ে মিয়ানমারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সক্ষমতা অর্জিত হলেই ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হবে। সব হাইওয়ে ও অন্যান্য সুযোগ স্থাপিত না হলে এটা সম্ভব না।”

“আর ট্রানজিট এখন শুধু বাংলাদেশ-ভারতের বিষয় না। এটাকে বৃহৎ পরিসরে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনের প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে।”

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব গর্ভনেন্স স্টাডিজের আয়োজনে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী।  

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো শহীদুল ইসলাম।