২৭ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিতে দুই প্রকল্প

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পে সরকারের সায় মিলেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 03:17 PM
Updated : 20 June 2017, 03:17 PM

দুটি প্রকল্পের একটি হচ্ছে ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)’। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

অপর প্রকল্পটি হচ্ছে, ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল) প্রকল্প। প্রায় ছয় হাজার ৭৭৭ কোটি টাকায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এ দুই সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে দেশের মোট ২৭ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। 

শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা হয়।

বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে এ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

“এ দুই প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৭৭ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।শুধু লাইন টানলেই হবে না সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে।”

একনেক সভায় মোট ৩০ হাজার ৩৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ের ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহিবল থেকে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

‘দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)।এর ব্যয় প্রায় ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মুল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

‘বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ ব্যয় ৮৫৯ কোটি টাকা।

চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট’।

‘আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলনে জাতীয মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা।

‘বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু নির্মাণ (লেবুখালী সেতু) প্রকল্প’। প্রকল্পটি প্রথমবারের মতো সংশোধন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, “পায়র সমুদ্র বন্দরের কারণে ওই রাস্তার উপর এখন ব্যাপক চাপ পড়বে। তাই নতুন পরিকল্পনা করে শক্তিশালী করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ৪১৩ কোটি টাকা ব্যয়ের সেতুটি এখন প্রায় এক হাজার ২৭৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।”

এছাড়া ২১১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প’।

১০৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ‘চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ (জেড-৮৭০১) প্রকল্প’।

প্রায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’।

৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘বন্দরসেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও হাই কমিশনারের বাসভবন নির্মাণ প্রকল্প’।

৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডার সমুহের পুনর্বাসন প্রকল্প’।