রাজধানীতে ২০২০ সালের মধ্যে ভূগর্ভস্থ নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ৬১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে সায় দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
Published : 06 Jun 2017, 09:47 PM
মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্প’সহ মোট ৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে ঢাকা মহানগরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ লোক বাস করে। এসব লোকের দৈনিক পানির চাহিদা হচ্ছে ২৪০ কোটি লিটার। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে।
“সে হিসাবে ২০২০ সাল নাগাদ রাজধানীর জনসংখ্যা হবে এক কোটি ৮০ লাখ। মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় পানির চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তখন প্রায় ৩০০ কোটি লিটার পানির চাহিদা তৈরি হবে। অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতেই এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রী জানান, প্রকল্পের আওতায় ভ্যারিয়েবল ফ্রিকোয়েন্সি ড্রাইভ কেনা হবে ২৩০টি, গভীর নলকূপ ক্রয় ও স্থাপন করা হবে ১০০টি, গভীর নলকূপ ক্রয় ও প্রতিস্থাপন করা হবে ২৫৫টি।
১০টি গভীর নলকূপ ক্রয় ও নতুন স্থানে স্থাপনসহ আরও বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ১১ প্রকল্পের জন্য যে ৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে তারমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে আর ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকাসংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে যোগান দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের স্যানিটারি অবস্থার উন্নয়ন করতে ‘প্রকিউরমেন্ট অব ইকুইপমেন্ট ফর সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পটির জন্য ৬৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) অনুদান দেবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প। এর ব্যয় এক হাজার ৬৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
সিলেট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
শ্রম পরিদপ্তরাধীন ৬টি অফিস পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
প্রকিউরমেন্ট অব ইকুইপমেন্ট ফর সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ১২ লাখ টাকা।
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫১ কোটি ৩ লাখ টাকা।
কেরানীগঞ্জে বিউবোর নিজস্ব জমির ভূমি উন্নয়ন ও সীমানা দেয়াল নির্মাণ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।