বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চার লাখ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব করেন তিনি।
বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুহিত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মার্চ শেষে এই হার দাঁড়িয়েছে তার থেকে বেশি ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
আর মাসওয়ারি, অর্থাৎ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরার কারণ ব্যাখ্যা করে মুহিত বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য সম্প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথাপি, মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ নাগাদ ১২ মাসের গড়ভিত্তিক সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৩৯ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬.১০ শতাংশ।
“সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা, সহায়ক রাজস্ব ও মুদ্রা নীতি, হাওরের ফসল নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সারাদেশে সন্তোষজনক কৃষি উৎপাদন এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলতি অর্থবছর শেষে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে বলে আমি মনে করি।”