বাজেটের ২০% কৃষিতে বরাদ্দের দাবি

২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে কৃষি নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘পরামর্শ অনুযায়ী’ কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে তা আরও বাড়ানোর কথা বলেছে সংগঠনগুলো।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপকূলীয় কৃষক সংস্থা, বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক জোট, কোস্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও কৃষক ফেডারেশনসহ ১৪টি সংগঠন এসব দাবি জানায়।

কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মজিবুল হক মনির বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- মাঝখানে ২০১৪ সাল ছাড়া প্রতি বছরই কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার কমছে।

“২০১০ সালে কৃষি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৫, ২০১৬ সালে সেটা দাঁড়ায় ২ দশমিক ৬ শতাংশে।”

চলতি অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দের কথা জানান মজিবুল হক।

“এবার আমরা শুনছি নতুন অর্থবছরে তা কমিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে, যা আমাদের কৃষিকে ধ্বংস করার মতো একটি আত্মঘাতী পরিকল্পনা হবে।”

কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘পাতা ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন কোস্ট ট্রাস্টের এই কর্মকর্তা।

“এই ফাঁদে পা দেওয়া হবে আমাদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।”

‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও আইএমএফের চাপে কৃষিতে ভর্তুকি হ্রাস, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আত্মঘাতী’ শিরোনামের সংবাদ সম্মেলনে আরও বেশ কিছু দাবির কথা জানানো হয়।

এরমধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ‘মূল্য কমিশন’ গঠন, ক্ষতিকর বিদেশী বীজ আমদানি বন্ধ, পাটের অতীত ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বরাদ্দ, কৃষি জমির অকৃষিখাতে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পুনর্বাসনে বাজেট বরাদ্দ।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় নারী কৃষক সংস্থা, বাংলাদেশ কিষাণী সভা, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতি, লেবার রিসোর্স সেন্টার, নলছিড়া পানি উন্নয়ন সমিতি, দিঘন সিআইজি ও কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রীর কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।