এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রেমিটেন্স বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, “এটাকে বাড়ানোর জন্য গতকাল প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন থেকে রেমিটেন্সের উপর চার্জ আর করবেন না। আই থিংক উই উইল ডু ইট। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় আমরা এটা করব। তাদের (প্রবাসীদের) আর টাকা পাঠানোর জন্য পয়সা দিতে হবে না।”
তবে এতদিন ব্যাংকগুলো রেমিটেন্সে যে মাশুল নিত, তা কীভাবে সমন্বয় করা হবে, সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিছু বলেননি।
“আরেকটা কারণ হচ্ছে, প্রবাসীরা আগের মতো তাদের সব টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন না। তাদের হাতে কিছু টাকা রাখছেন।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কমেছে ১৬ দশমিক ০৩ শতাশ।
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কমেছিল ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বিদেশে টাকা পাচার রোধে জমি কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্যও তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানান।
“তাই এখন আমরা কোনো সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে না দেওয়ার চিন্তা করছি।”
তিনি বলেন, “জমি কেনাবেচায় অপ্রদর্শিত অর্থই কালো টাকার অন্যতম উৎস। পরবর্তীতে এ কালো টাকা তারা বিদেশে পাচার করে। তাই পাচার বন্ধে আগামী বাজেটে জমির সর্বনিম্ন নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা কিন্তু বিদ্যুতে সাবসিডাইজড করছি, করেও যাব। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতায়ন হবে। এখন ৮০ ভাগ গ্রামে বিদ্যুত আছে।
তিনি বলেন, “শিক্ষক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক গড়া অতটা সহজ নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।”
পড়ার অভ্যাস তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের আরও ব্যাপকভাবে লাইব্রেরি সংস্কার করা প্রয়োজন।”
গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরি তৈরি করার জন্য সাধারণ মানুষের উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।