সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনায় অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে কর্পোরেট কর এখনও অনেক বেশি, কর্পোরেট কর পুনর্বিবেচনা করে আরেকটু কমানো যায় আরকি।”
বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ভ্যাট আইনকে ব্যবসা বান্ধন মন্তব্য করে ইনু বলেন, “নতুন বাস্তবায়িত হতে যাওয়া ভ্যাট আইন সেবা বান্ধব, ব্যবসা বান্ধব এবং রাজস্ব বান্ধব।
“সরকারকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয় যেন রাজস্ব পাওয়া যায়, দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হয় যে, ভোক্তা বা জনগণ যেন কষ্টে না পড়েন, দেশে যেন মূল্য বৃদ্ধি না হয় এবং ব্যবসায়ীরা যেন সমস্যায় না পড়েন। আমার মনে হয়েছে নতুন বাস্তবায়িত হতে যাওয়া ভ্যাট আইনের সেসব গুন আছে।”
তবে আইনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈত কর রয়েছে মন্তব্য করে সেগুলো কমানোর পক্ষে মত দেন জাসদ সভাপতি।
“কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈত কর আছে, সেগুলো এনবিআর এবং ব্যবসায়ীরা বসে ঠিক করে নিতে পারেন, দ্বৈত কর হচ্ছে অন্যায়, সরকার তো দ্বৈত কর নিয়ে অন্যায় করতে পারে না।”
আলোচনা সভায় এনবিআর সদস্য ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসান বলেন, “নতুন ভ্যাট আইনের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে খরচ বাড়বে না। জীবনযাত্রার মানে এর কোনো ঋণাত্মক চাপ তৈরি হবে না।
“নতুন ভ্যাট আইনের কারণে ব্যবসায়ের প্রতিপালন খরচ অনেক কমবে, কারণ সব কাজ অনলাইনে ঘরে বসে করা যাবে। শুনানি ব্যতীত কোনো কাজের জন্যই ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। হয়রানি কমবে, সময় বাঁচবে, ব্যবসায়ের খরচ কমে যাবে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় তথ্যমন্ত্রী ইনু ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দীন আহমেদ।