বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) কর্তৃক প্রকাশিত তিনটি গবেষণা প্রতিবেদনের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ মাসের শুরুর দিকে আকস্মিক ঢলে সুনামগঞ্জ,সিলেট,মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওর তলিয়ে গেছে।এতে বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মারা গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ ও হাঁস।
হাওরে এই অকস্মিক বন্যার কারণ হিসেবে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “৪০ ফুট কেন হিমালয় সমান বাঁধ দিলেও হাওড়কে বশে আনা যাবে না। তবে পুরো অঞ্চল নিয়ে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞদের দিয়ে বিশেষ করে হাওড় নিয়ে কাজ করেন, তাদেরকে নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে এর সমাধান করা যেতে পারে।”
হাওরে বন্যার জন্য জলবাযূ পরিবর্তনকে দায়ী করেন তিনি ।
“আমাদের এক জায়গায় হাত-পা বাঁধা, তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। যদিও আমরা এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নই।”
প্রকাশিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে উপাত্ত ঘাটতি বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গবেষণায় টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রম মূল্যায়নে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে বলে জানান সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, “এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছি। এই উপাত্ত বিশ্লেষনের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি আমাদের কী ধরনের উপাত্ত আছে এবং সূচকের বিপরীতে আরও কি ধরনের উপাত্ত প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে উপাত্ত ঘাটতি বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট উপাত্তের ২৯ ভাগ পাওয়া যাচ্ছে। ৪৫ ভাগ উপাত্তের আংশিক পাওয়া যাচ্ছে যা সংযোজন করা প্রয়োজন। বাকি ২৬ ভাগ উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছেনা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জিইডি সদস্য শামসুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কেএএস মুর্শিদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদিপ্ত মুখার্জি প্রমুখ বক্তব্য দেন।