জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার তার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বের অঙ্গীকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের আলোচনায়।
Published : 15 Oct 2016, 10:51 PM
নবম দক্ষিণএশিয়া অর্থনৈতিক সামিটের প্রথম অধিবেশনে প্যানেল আলোচকরা এ সংশয় প্রকাশ করেন।
ঢাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলেশনিবার দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। প্রথম অধিবেশনে ‘২০৩০ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব কি প্রস্তুত’ শিরোনামের আলোচনায় অংশ নেন সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশেই আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এলেও দ্বিপক্ষীয় সমস্যা ও সন্ত্রাসবাদের কারণে সম্মিলিত উদ্যোগগুলো ভেস্তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা-সার্ক থেকে তেমন সুফল না আসার কথা তুলে ধরা হয়।
“এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষার ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক যোগাযোগ দরকার। কিন্তু সেগুলোর জন্য উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতা দুটোই বাড়াতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতিতে সংস্কার ও মনোভাবের পরিবর্তন দরকার।”
পাকিস্তানের সংসদ সদস্য রানা মুহাম্মদ আফজাল খান বলেন, “সার্ক এখন আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিষয় হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভারতের সাথে আলোচনার জন্য মুখিয়ে আছে, কিন্তু ভারত আলোচনার শর্ত দিচ্ছে।
“একে সহযোগিতা বলা যায় না। এভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাস্তবায়ন করা যাবে না।”
তিনি বলেন, “শুধু দেশ নয়, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানুষের উন্নয়নভাবলেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন হবে।”
ভারতের মিডিয়াস্কেপ প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান সম্পাদক শেখর গুপ্ত বলেন, বিশ্বের প্রায় ৪৫ শতাংশ মুসলমান দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করলেও এই অঞ্চলে আইএস নেই। এটা যেমন ভালো উদাহরণ তেমনি অনুমোদনহীন অস্ত্রধারী রয়েছে,যা আঞ্চলিক সহযোগিতার বাধা।
বাংলাদেশের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,“গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এগুলো নিশ্চিত করা না গেলে আঞ্চলিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যাবে না।
“দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে এসবের ঘাটতি রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব উন্নয়নের চেয়ে ক্ষমতা নিয়ে বেশি ব্যস্ত।”
আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা নাজির কাবিরী বলেন,সন্ত্রাসবাদের কারণে আঞ্চলিক সহযোগিতা তৈরি হচ্ছে না।