এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে চার লাখ এক হাজার ৩০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ আট হাজার ৮০০ টাকার ধানের চারা, বীজ ও সার।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, অন্যবার এই সময়ে শুধু ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হলেও এবার বন্যার কারণে তাদের পুনর্বাসন কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
“কৃষকদের পুনর্বাসন ও প্রণোদনার অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে সরবারহ করা হবে। এজন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না।”
মতিয়া জানান, অতিবৃষ্টিজনিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে রোপা আমন ধানের চারা ও সবজি বীজ সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জে আমন বীজতলা, সবজিসহ সাড়ে সাত লাখ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। এর মধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
“ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বিনা ও ব্রি’র উদ্যোগে নাবি জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে, যা শিগগিরই কৃষকদের বিতরণ করা হবে।”
একজন কৃষক ২০০ গ্রাম করে লাল শাক ও মূলা বীজ, ১০০ গ্রাম পালং শাক, ১০ গ্রাম বিটি বেগুন এবং ৩০ গ্রাম করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ পাবেন।
“বিতরণকৃত বীজ দিয়ে উৎপাদিত ফসলে ১৭ হাজার ২১১ কৃষক পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।”
এছাড়া ৬৪ জেলার কৃষকদের মাসকলাই, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, ফেলন, খেসারী, তিল ও বোরো বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে।
প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চার লাখ এক হাজার ৩০০ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে পাবেন কৃষকরা।
প্রণোদনা সহায়তার ফলে ২৬ হাজার টন গম, ৯৪ হাজার টন ভ্ট্টুা, ২৪ হাজার টন সরিষা, চার হাজার টন মুগ, ৩১৭ টন ফেলন, এক হাজার টন চিনাবাদাম, দুই হাজার টন গ্রীষ্মকালীন তিল, এক হাজার টন মাসকালাই, ৮০০ টন খেসারি এবং ছয় হাজার টন বোরো ধান উৎপাদন হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।