জাপানের সব প্রকল্প চলবে

বাংলাদেশে সব প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োজিত তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2016, 03:32 PM
Updated : 21 August 2016, 03:46 PM

রাষ্ট্রদূত মাশাতো ওয়াতানাবে রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

পরে মুহিত বলেন, “রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তাদের সব প্রকল্প চলবে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এটা আগেই বলেছিলেন। সেটাই তিনি নিশ্চিত করলেন।”

গত ১ জুলাই গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০ জিম্মির মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশি। তাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানের নাগরিক, যারা ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

যেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সেখানের বিষয় নিয়ে আমাদেরও কনসার্ন আছে। জুলাইয়ের ঘটনার পর সেটা নিয়ে আমাদেরও পরিকল্পনা আছে। যেখানে প্রকল্প হচ্ছে, সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকা উচিত।

“আমরা নিজেরাই চিন্তা করছি- যেখানে বিদেশি কর্মী রয়েছে, সেখানের জন্য নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আমাকে এটা নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে কথা বলতে হবে।”

নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই রকম ঘটনা (গুলশান হামলা) খুবই নিরাপদ দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমরা যখন ভিক্টিম হয়েছি, আমাদের সতর্ক হতে হবে।”

দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সার্বিক নিরাপত্তা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। প্রত্যেক থানায় সন্দেহভাজনদের তালিকা আছে। সেটার ওপর জোর দেওয়া হয়।”

পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “গতবার ৩০ হাজার বাড়িয়েছি। এবার ৫০ হাজার বাড়াব।”

এরপর বাংলাদেশে পুলিশ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, এটাও জনসংখ্যার তুলনায় কম হবে।

মন্ত্রণালয়ে উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একদল প্রতিনিধিও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

এরপর অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সরকারের সাফল্যের অন্যতম কারণ হচ্ছে নারীর অংশগ্রহণ। যদিও শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো বেশ কম, ৩০শতাংশ।

“তারা কাজ করেন। ঘর-বাড়ি চালানো, বাচ্চা পালন-এগুলো তারা করে। আয়া আনতে হলে তাকে টাকা দিতে হয়। কিন্তু স্ত্রী বা বোন তার সন্তান বা ভাইকে লালন পালন করলে সেজন্য কোনো পেমেন্ট নাই।

“এটা কীভাবে গণনা করা যায়-সেটা পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞদের নিকট বড় একটা বিষয়।”