রিজার্ভ চুরির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে না: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আট কোটি ডলার চুরির ঘটনা অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2016, 01:37 PM
Updated : 27 April 2016, 01:37 PM

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় আপাতত ক্ষতি হলেও দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফিলিপাইন সরকারের সহযোগিতায় অর্থ ফেরত আনার তৎপরতার ফলে এ বিষয়ে সম্ভাব্য বিরূপ পরিস্থিতি ঠেকানো গেছে। এই ঘটনায় মুদ্রানীতি বাধাগ্রস্ত হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।”

ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে পাঠানো হয়।

শ্রীলঙ্কায় যাওয়া অর্থ আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে যাওয়া অর্থ ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয় বলে স্থানীয় পত্রিকাগুলি খবর প্রকাশ করে। তা নিয়ে শুনানি করেছে ফিলিপিন্সের পার্লামেন্ট।

সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মোঃ সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “হ্যাকিংয়ের ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে কিছু টাকা ফেরত পাওয়া গেছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায়র মাধ্যমে বাকি অর্থও ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।”

এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘তাৎক্ষণিক যথোপযুক্ত’ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আরও বড় রকমের হ্যাকিং বন্ধ হয়ে গেছে, বলেন সরকার প্রধান।

রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায়র পর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন গভর্নর আতিউর রহমান। ঘটনার তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে।

পানামা পেপার্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে কোনো অফশোর ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে টাকা বাইরে পাঠিয়েছে।

“২০০১-২০০৬ এ যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা অনেকেই বিদেশে টাকা রেখেছে। আমাদের বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রীর ছেলের মানি লন্ডারিং করে বাইরে পাঠানো টাকা ফেরত এনেছি। এটা বিরল দৃষ্টান্ত।”