‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেশি দামি গাড়ি নয়’

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2015, 11:33 AM
Updated : 18 Nov 2015, 12:21 PM

এক্ষেত্রে পঞ্চাশ লাখ টাকার বেশি দামি মোটরকার কেনা যাবে না; জিপ কেনা যাবে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা দামের।

নতুন শাখা স্থাপনের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার বর্গফুটের বেশি বড় ফ্লোর বা স্পেস ব্যবহার না করতেও নির্দেশনা এসেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিলাসবহুল যানবাহন ও আড়ম্বরপূর্ণ সাজসজ্জায় উচ্চব্যয় কমাতে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বিলাসবহুল যানবাহন ক্রয় এবং বিভিন্ন শাখায় আড়ম্বরপূর্ণ সাজসজ্জাসহ অন্যান্য খাতে উচ্চ ব্যয় নির্বাহের নজির লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেড়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চ ব্যয় পরিহারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে।

সার্কুলারে মোটরযান কেনার বিষয়ে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থে পঞ্চাশ লাখ টাকার বেশি দামি মোটরকার এবং এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের জিপ কেনা যাবে না।

পর্ষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর জন্য দেওয়া সার্বক্ষণিক গাড়িসহ সকল যানবাহন ন্যূনতম পাঁচ বছর ব্যবহার করতে হবে। এরপর তা পরিবর্তন করা যাবে।

এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোটরযান ব্যবহার ও পরিচালনা ব্যয়ের তথ্য ষান্মাসিকভাবে পর্ষদ সভায় এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করতেও বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইটি সরঞ্জাম ছাড়া ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, অফিসের আসবাবপত্র, ইলেকট্রিক/ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি খাতে নতুন শাখা স্থাপন ও বিদ্যমান শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকার বেশি ব্যয় না করতে নির্দেশনা এসেছে ওই সার্কুলারে।