জলবায়ু পরিবর্তনে ‘ঝুঁকিতে’ বিশ্ব অর্থনীতি

বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম জি টোয়েন্টির ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান মার্ক কারনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করে আর্থিক সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2015, 04:16 PM
Updated : 2 Oct 2015, 04:25 PM

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতের শেয়ার বিক্রি (প্যানিক সেলিং) করে দিলে তার প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়েও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর কারনি সতর্ক করেছেন বলে ক্লাইমেট নিউজ নেটওয়ার্কের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  

কারনির মতে, তেমনটি হলে জীবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর পড়ে যাবে, যারা বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, এসব কোম্পানির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিছু কোম্পানি রয়েছে এবং এগুলো পুঁজিবাজারের সম্পদের এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিনিয়োগকারীরা যদি মনে করে এগুলোর অতিমূল্যায়ন হয়েছে এবং একবারে সব শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলেই গোল বাঁধবে।

বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল ও প্রভাবশালী ব্যাংকারদের একজনের কাছ থেকে এই সতর্কতাকে  ক্লাইমেট নিউজ নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে দেখা হয়েছে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হুঁশিয়ারি হিসেবে।

কারনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা যাতে না ঘটে, সেজন্য উদ্যোগ নিতে নভেম্বরে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে বলবেন  তিনি।

জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোতে খাটানো শ’ শ’ কোটি ডলার ফেরত নাও আসতে পারে এবং তাতে ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

কারনির পরামর্শ, কার্বন নিঃসরণকারী শিল্প থেকে সরিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ অতিমূল্যায়িত হয়েছে বলে মনে হতে পারে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে পৃথিবীতে যতো সব জীবাশ্ম জ্বালানি আছে তার এক পঞ্চমাংশ থেকে এক তৃতীয়াংশ উত্তোলন করা ঠিক হবে না।

কোম্পানিগুলো কী পরিমাণ কার্বন উৎপাদন বা নিঃসরণ করছে সে তথ্য যাতে তারা প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে তারা কীভাবে এগোচ্ছে তা দেখভালের জন্য একটি ক্লাইমেট ডিসক্লোজার টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জি টোয়েন্টির সদস্য দেশগুলো বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের ৮৫ শতাংশের জন্য দায়ী।