কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে এ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এ মৈত্রী সড়ক নির্মাণে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ২৬ এপ্রিল প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) অনুমোদন পায়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠনও করা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত অুনমোদনের জন্য একনেক সভায় পাঠানো হতে পারে।”
‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক (বালুখালী-ঘুনধুম) বর্ডার রোড নির্মাণ’ নামের এই প্রকল্প ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর (বিসিআইএম) গঠনে গত ১৯ ডিসম্বর চার দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা একটি চুক্তি সই করেন। এরপর ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত মৈত্রী সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একনেক সভার জন্য তৈরি প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ছাড়াও চীন ও থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ওই দেশগুলোর সঙ্গে সামাজিক, সংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে বলা হয়, “ভৌগোলিক নকশায় বাংলাদেশের ঘুনধুম ও মিয়ানমারের থানগ্রোব্রোর ভূমি একই ধরনের। প্রস্তাবিত সড়কটি এ অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সাধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।
“বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার এ নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে।”
২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বাণিজ্য হয়। এরমধ্যে বাংলাদেশ মিয়ানমারে রপ্তানি করে ১ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য, আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয় ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য।