মন্ত্রী বলেছেন, “দেশের উন্নয়নে মানসম্পন্ন গবেষণা করতে অর্থায়নে কোনো সমস্যা নেই। ভবিষ্যতে বিআইডিএস আরও বেশি মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনা করতে পারলে প্রয়োজন হলে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে সরকার কার্পণ্য করবে না।”
বৃহস্পতিবার বিআইডিএসের ট্রাস্টি বোর্ডের ৯৭তম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানও পরিকল্পনামন্ত্রী।
বিআইডিএসের বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “এর আগের অর্থবছরগুলোতে এ খাতে বিআইডিএসকে গড়ে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হত। এবছর তা বাড়িয়ে ১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা করা হল।”
তিনি বলেন, “সরকার গবেষণা ব্যয়কে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ হিসেবে দেখে। আমাদের অর্থনৈতিক চাহিদার সাথে মিল রেখে গবেষণার বিষয়বস্তু ঠিক করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতার ক্ষেত্রগুলো কোথায় তা জানতে হবে।”
পর্যটন খাত নিয়ে গবেষণার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “একইসাথে সরকারের রাজস্ব আয় কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে বিআইডিএসের বিস্তারিত গবেষণা করা উচিত।”
গবেষণা বরাদ্দ বাড়ানোকে ইতিবাচক অভিহিত করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, “এর মধ্য দিয়ে বিআইডিএসকে গবেষণা ক্ষেত্রে সেন্টার অব এক্সসিলেন্স হিসেবে তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হল। দেশি-বিদেশি সব ধরনের গবেষকদের সাথে নিয়েই বিআইডিএসের এগিয়ে যেতে হবে। তবেই দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দ্রুতগতিতে হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আতিউর রহমান বলেন, “বিআইডিএসকে এভাবে এগিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থে আপামর জনসাধারণ উপকৃত হওয়ার সুযোগ পেল।”
গবেষণা বরাদ্দ বাড়ায় বিআইডিএস এখন আরও গুণগত মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিআইডিএস আগামী নভেম্বর থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্স চালু করতে যাচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব শফিকুল আজম, শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান উপস্থিত ছিলেন।