চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে আরেক তরুণ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুই তরুণের অন্যজনও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2017, 03:25 PM
Updated : 23 June 2017, 03:38 PM

শুক্রবার সকালে নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে মো. জীবনকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দিন আকবর। 

জীবন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা হলেও নগরীর বহদ্দারহাট লোহা কলোনিএলাকায় থাকেন। তার বাবা মো. রোকন ও মা সাজেদা বেগম।

পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জীবন।

গত ১৫ জুন ভোরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার আরাকান সড়কের নঈমিয়া ভবন নামের মার্কেটের তিনতলা থেকে সালমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বহদ্দারহাট আতাতুল ক্যাডেট মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সালমা বাদুরতলার শাহ আমানত সোসাইটি এলাকার মো. সোলায়মানের মেয়ে। সোলায়মান অটোরিকশা ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক।

এই ঘটনায় বুধবার রাতে যুবক ইমন হাসানকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইমনও ধর্ষণের পর জানাজানির ভয়ে সালমা হত্যা করে বলে স্বীকার করেছিল।

যে ভবনে সালমার লাশ পাওয়া যায় ওই ভবনের ‘জোহান করপোরেশন’ নামের সেনিটারি দোকানের কর্মচারী জীবন।

জীবনের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জীবন জানিয়েছে, সালমার পরিবার আগে লোহা কলোনির বাসিন্দা ছিল। সেখানে থাকার সময় সালমার সাথে তার পরিচয় ছিল।

“পরে সালমার পরিবার শাহ আমানত সোসাইটিতে চলে যায়। তবে নতুন বাসায় চলাচলের সময় জীবনের দোকানের সামনে দিয়ে সালমা যাওয়া আসা করত।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জীবন বলেছে, আগে থেকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে এ বিষয়ে ইমনকে জানায় সে।

“খেলনা দেয়াওর কথা বলে সালমাকে ডেকে ওই ভবনে নিয়ে যায় জীবন। ভবনটির তিন তলার একটি গুদামে সালমাকে আটকে রেখে প্রখমে জীবন ও পরে ইমন ধর্ষণ করে।”

জীবন জবানবন্দিতে বলেন, এ ঘটনার কথা সালমা তার বাবাকে বলে দেবে বলার পর আমি ইমনকে বলি- সালমাকে মেরে ফেলতে হবে।

এরপর ইমন ও জীবন মিলে হাত-পা চেপে ধরে সালামা স্কার্ফ দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে বলে জবানবন্দিতে জানায় জীবন।

হত্যাকাণ্ডের পর সালমার লাশ জোহান করপোরেশনের গোডাউনে রেখে জীবন ও ইমন চলে যায়। ওই রাতে আবার ফিরে গিয়ে গোডাউন থেকে নেয়া একটি ভাঙা কার্টনে লাশ রেখে উপরে আবর্জনা চাপা দিয়ে চলে যায় বলে জানায় জীবন।