ঘূর্ণিঝড় মোরা ঊপকূল অতিক্রম পর বঙ্গোপসাগরে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারেসহ ৭১ জন মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাগরে ডুবে মারা গেছেন একজন জেলে।
Published : 31 May 2017, 12:13 AM
মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত ওই ট্রলারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. চাহেল তস্তুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাঁশখালী থেকে চার দিন আগে দুটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার গভীরে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
“নৌকা দুটিতে মোট আটজন মাঝি-মাল্লা ছিল। ঝড়ের পর এখনও তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।”
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী রাত ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কুতুবদিয়া অঞ্চল থেকে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া চারটি ট্রলার তীরে ফিরে আসেনি।
সেগুলোতে মোট ৬৩ জন মাঝি-মাল্লা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “নৌকা মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা এখন পর্যন্ত ওই নৌকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি।”
ট্রলার থেকে পড়ে জেলের মৃত্যু
এদিকে গভীর সাগরে ঝড়ের মধ্যে একটি ট্রলার থেকে পড়ে একজন জেলের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন কুতুবদিয়ার ইউএনও সুজন।
নৌকা মালিক সমিতির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঝড়ো বাতাসের মধ্যে সাগরে থাকা কতুবদিয়া অঞ্চলের একটি ট্রলার থেকে একজন জেলে পড়ে যান। সহকর্মীরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি।
ওই জেলের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি সুজন চৌধুরী।
এ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে মোট সাতজনের মৃত্যুর খবর জানা গেল। এই জেলে ছাড়া কক্সবাজারে তিনজন, ভোলায় এক শিশু এবং রাঙ্গামাটিতে এক নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার পর ইতোমধ্যে শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে।