চট্টগ্রামে অ্যামোনিয়া নিঃসরণের তদন্ত প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানার ট্যাংক বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বিসিআইসি গঠিত কমিটি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2016, 05:21 PM
Updated : 28 August 2016, 05:21 PM

বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালের কাছে রোববার  এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানালেও তাতে কী আছে তা বলেননি বিসিআইসি চেয়ারম্যান।

“দুই-একদিনের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী এ বিষয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানাবেন,’’ বলেছেন তিনি।

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখের পাশাপাশি সুপারিশও রয়েছে।

গত সোমবার রাতে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ডিএপি সার কারখানায় ৫০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া ধারণক্ষমতার একটি ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।

গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্ধশতাধিক মানুষ। আশপাশের ঘেরের মাছ মরার পাশাপাশি গাছের পাতাও বিবর্ণ হয়ে যায়। অ্যামোনিয়া মিশে জলাশয়ের পানির রংও পাল্টে যায়।

পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিসিআইসি চেয়ারম্যান ১০ সদস্যের কারিগরি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান।

এই কমিটির প্রধান করা হয় বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি) মো. আলী আক্কাসকে। সদস্য সচিব হন সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের ভুঁইয়া।

কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

মোহাম্মদ ইকবাল ওইদিন বলেছিলেন, দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি এবং এরজন্য দায়ীদের চিহ্নিত করবে কমিটি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ দেবেন তারা।

এছাড়া ওই কারখানায় অন্য তিনটি ইউনিটে এখন কোনো ঝুঁকি আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে কমিটি।

বিসিআইসির বাইরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।