হত্যাকাণ্ডের ১৭ মাসপর সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবু ইউসুফের আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে আসামি এবং ৩২জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে আদালত পরিদর্শক মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ফেরার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের ট্রেনের বগিভিত্তিক দুই সংগঠন ‘ভি-এক্স’ ও ‘সিএফসি’।
এ সময় শাহজালাল হল থেকে একপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহত হন শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায় থাকা তাপস সরকার। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সংস্কৃত বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
হত্যাকাণ্ডের পর সিএফসি গ্রুপের পক্ষ থেকে তাপসকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করা হয়। ঘটনার দুদিন পর তাপসের বন্ধু, একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
গত বছরের ৫ অগাস্ট মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুজ্জামান আশাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় থাকা অন্যরাও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
অভিযোগপত্রে রূপন বিশ্বাস নামে একজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনার আগেই রূপন ভারতে গিয়েছিল এবং তার কিছুদিন পর সে দেশে এসেছিল। ইমিগ্রেশন প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।”
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
পিবিআই কর্মকর্তা মোস্তাফিজ বলেন, “হত্যাকাণ্ডের আগেরদিন শাহজালাল হলে একটি বৈঠক হয়েছিল। সে বৈঠকে এরশাদও উপস্থিত ছিলেন বলে সাক্ষীদের কাছ থেকে জানা গেছে।”
২৯ আসামির মধ্যে আশরাফুজ্জামান আশাসহ ১৫ জন পলাতক এবং ১৪ জন জামিনে আছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।