শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তার হাতে ফুল ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী।
সভায় মহসিন চৌধুরী বলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু কিছুদিন আগে প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে আজীবন দাতা সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সদস্য পদ পেয়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন বাবলু।
গত ১৭ জানুয়ারি নিজের জেলা রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভাই জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান ও উত্তরসূরি ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
পরদিন ঢাকায় পার্টির সাংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর নেতাদের একাংশের ‘যৌথ সভা’ থেকে এরশাদের সিদ্ধান্তকে ‘গঠনতন্ত্রবহির্ভূত’ ঘোষণা করে তার স্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতা রওশনকে দলের ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন’ করার ঘোষণা করা হয় বলে দলের মহাসচিব বাবলু জানান।
দুদিন পর ঢাকায় ফিরে নিজের কার্যালয়ে এক ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত বাবলুকে সরিয়ে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করার ঘোষণা দেন এরশাদ।
এর দুই ঘণ্টার মাথায় জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় নেতা রওশনের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে এরশাদের সিদ্ধান্ত ‘প্রত্যাখ্যান’ করা হয়।
তবে শনিবারের মতবিনিময় সভায় বাবলুকে জাতীয় পার্টির ‘সদ্য সাবেক মহাসচিব’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও সেবিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
সব সরকারই চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ও প্রাচ্যের রানি বানানোর কথা বললেও সেই ‘রানিকে’ এখনো দেখা যায় না বলে অভিযোগ কোতোয়ালী আসনের সাংসদ বাবলুর।
“শৈশবে যা দেখেছি তার চেয়ে চট্টগ্রামের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা নগরীর অংশ। কিন্তু সেখানকার মানুষ এখনো মানবেতর জীবনযাপন করে।
“কেন তারা নাগরিক সুবিধা পাবে না? বাস্তবে চট্টগ্রামকে প্রাচ্যের রানি করতে সংসদে এবং সংদের বাইরে কথা বলব, উদ্যোগ নেব।”
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, সাংবাদিক নেতা শহীদুল আলম, শামসুল হক হায়দরী ও চৌধুরী ফরিদ উপস্থিত ছিলেন।