বুধবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৮ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বিসিবি একাদশ।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে শেষবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে কোনো ধরনের ক্রিকেটে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি টাইগাররা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বিসিবি একাদশের। কোনো রান না করেই ফিরে যান ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রনি তালুকদার। ভালো করতে পারেননি উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী তামিম ইকবালও।
অধিনায়ক নাসির হোসেনের চোটে দলে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম। রাহাত আলির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে মাত্র ৯ রান করেন তিনি।
ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারানো বিসিবি একাদশ প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে সাব্বির ও লিটন দাসের ব্যাটে। ২৭ বলে ২২ রান করে লিটনের বিদায়ে বড় একটা ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।
নাসিরের অনুপস্থিতিতে বিসিবি একাদশকে নেতৃত্ব দেন মুমিনুল হক। রনি, তামিমের মতো প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলে থাকা মুমিনুলও ভালো করতে পারেননি। ১২ রান করে লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
৮১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বিসিবি একাদশকে কক্ষপথে ফেরানোর কৃতিত্ব সাব্বির রহমান ও ইমরুল কায়েসের। ১৯ ওভারে ১২৪ রানের চমৎকার জুটি গড়েন তারা। ইমরুলকে (৩৬) বোল্ড করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ।
এক সময়ে বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট ২০৫ রান। জয়ের জন্য এই সময় আরও ৬৪ রান প্রয়োজন ছিল তাদের।
জাতীয় দলে সাত নম্বরে ব্যাট করা সাব্বির প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেন চার নম্বরে। ব্যাটিং অর্ডারে ‘প্রমোশন’ পেয়ে খেলেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ৯৯ বলের দৃঢ়তাভরা ইনিংসটি ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
শুরুতে পাকিস্তানের পেসারদের বল দেখেশুনে খেলেন সাব্বির। উইকেটে থিতু হয়ে স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের গতি বাড়ান তিনি। পরে অতিথি পেসারদেরও ছেড়ে কথা বলেননি, বাজে বল পেলেই সীমানা ছাড়া করেন সাব্বির।