জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড ৪৩৮ রান করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু জুলফিকার বাবর আর ইয়াসির শাহর ঘূর্ণি বলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। জুলফিকার ৭৪ রানে ৫ আর ইয়াসির ৫০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ২১৬ রানে শেষ করে দেন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস।
চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ৫৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে রেখেছিল পাকিস্তান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন শুধু অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটসম্যান-ক্রিস রজার্স, স্টিভেন স্মিথ ও মিচেল জনসন। তবে রজার্সের ৪৩, আর স্মিথ ও জনসনের অর্ধশতক পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমায়।
পাকিস্তানের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো রজার্সকে সরিয়ে জুলফিকার আর ইয়াসিরের জন্য কাজটি সহজ করে দেন অভিষিক্ত পেসার ইমরান খান। ১৩১ বলে ১টি চারে ৪৩ রান করার পথে পঞ্চম উইকেটে স্মিথের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন রজার্স।
স্মিথ আউট হন ৫৫ রান করে। ১৭৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৩টি চারে। ৬১ রান করে অভিষিক্ত লেগস্পিনার ইয়াসিরের বলে আউট হওয়া জনসনের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। তিনিও ইয়াসিরেরই ঘূর্ণির শিকার হন।
চতুর্থ দিন বিকেলে মাইকেল ক্লার্ক ও নাথান লিয়নের উইকেটও নেন ইয়াসির। আগের দিন ডুলান ও ওয়ার্নারের উইকেট নেয়া জুলফিকার রোববার আউট করেন মিচেল মার্শ, ব্র্যাড হ্যাডিন ও পিটার সিডলকে।
ম্যাচে ৭টি করে উইকেট নেয়া জুলফিকার ও ইয়াসিরের কেউই অবশ্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাননি। এই পুরস্কারটি গেছে জোড়া শতক করা ইউনুস খানের অধিকারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৪৫৪ ও ২৮৬/২ ইনিংস ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া: ৩০৩ ও ২১৬ (রজার্স ৪৩, ওয়ার্নার ২৯, ডুলান ০, ক্লার্ক ৩, লিয়ন ০, স্মিথ ৫৫, মার্শ ৩, হ্যাডিন ০, জনসন ৬১, সিডল ১৫, ও'কেফি ০*; জুলফিকার ৫/৭৪, ইয়াসির ৪/৫০, ইমরান ১/২২)।
ফল: পাকিস্তান ২২১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: ইউনুস খান (পাকিস্তান)
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।