তবে এটাই ইনচন এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম কোনো পদক জয়। সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
শুক্রবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের জন্য সাত ওভারে মাত্র ৪৩ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের মেয়েরা টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান করে। ফাহিমা খাতুনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান তোলেন বিসমাহ। এছাড়া আরো চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায় আগের আসরেও সোনা জেতা পাকিস্তান।
বাংলাদেশের রুমানা আহমেদ ২টি, জাহানারা আলম, সালমা খাতুন ও ফাতিমা খাতুন একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের আগেই বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৭ ওভারে ৪৩ রানের লক্ষ্য পায় সালমারা।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল স্বপ্ন দেখার মতোই। উদ্বোধনী জুটিতে বলে বলে রান তোলেন আয়েশা-রুমানা। ২.১ ওভারে ১৩ রান করার পর আয়েশা রহমান (৭) রান আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ২০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ; এবার রুমানা (১০) রান আউট হন।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ১৪ রান; হাতে ছিল ৮ উইকেট। কিন্তু এরপরই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে সোনা জয়ের স্বপ্নটা মলিন হয়ে যায়।
বাংলাদেশ বড় ধাক্কাটি খায় অধিনায়ক সালমা খাতুন বিদায় নিলে। সাদিয়া ইউসুফের বলে মাত্র ১ রান করে বোল্ড হন সালমা। ৫ম ওভারের শেষ বলে ফারজানাকেও (১) সাজঘরে ফেরান সাদিয়া।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের ৭ রান দরকার ছিল। কিন্তু প্রথম বলেই নাদিয়া দারের বলে নাদিয়াকে ক্যাচ দেন নুজহাত তাসনিয়া। চতুর্থ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে শাহানাজ পারভীন রান আউট হন।
শেষ দুই বলে ৫ রানের প্রয়োজন মেটানো তো দুরের কথা, কোনো রানই তুলতে পারেননি পান্না ঘোষ ও শায়লা শারমিনরা।
এর আগে ২০১০ সালের চীনের গোয়াঞ্জো এশিয়ান গেমসেও এই পাকিস্তানের সঙ্গে হেরেই রূপা জিতেছিল মেয়েরা।