আগের দিনে বাজে আবহাওয়ায় খেলা হয়েছিল মাত্র ৩৯ ওভার। ম্যাচের ভাগ্যে ড্র লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনই। শেষ দিন সকালে কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরি করলেন এনামুল হক। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নাসির হোসেন নিলেন ৫ উইকেট। তবে ম্যাচ এগোচ্ছিল ড্রয়ের পথেই।
প্রথম ইনিংসে ২৪ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চের পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। দুই দলের তখনও বাকি দুই ইনিংস। কিন্তু মরা ম্যাচে দারুণভাবে প্রাণ ফেরালেন মাশরাফি। সঙ্গী পেলেন আল আমিন হোসেনকে।
ইনিংসের প্রথম বলেই রংপুরের ওপেনার সায়মন আহমেদকে ফেরালেন আল আমিন। এরপর মাশরাফির ঝলক। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরালেন নাসির হোসেন ও মাহমুদুল হাসানকে। পরের ওভারে আউট করলেন আরিফুল হককেও। ২৫ রানে নেই রংপুরের ৪ উইকেট!
৪ ওভারের স্পেলে মাশরাফির উইকেট হতে পারত পাঁচটি। তার বলে ক্যাচ পড়ে দুটি। সেই উত্তেজনার মধ্যেই বৃষ্টির হানা। তখন সবে দুপুর দুইটা। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৩ রানে এগিয়ে রংপুর। ম্যাচের বাকি তখনও ৪৬ ওভার। নাটকীয়তার বাকি ছিল অনেক। কিন্তু নাটক জমতে দিল না বৃষ্টি।
সকালে ১৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করে এনামুল হক করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। সাড়ে ৮ ঘণ্টা উইকেটে থেকে আউট হন ২১৬ রানে। ৩৫৬ বলের ইনিংসে চার ১৮ট, দুটি ছক্কা।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের রান মেশিন তুষার ইমরান করেন ৫৪। জিয়াউর রহমান ৩১। ৯ উইকেটে ৪৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা।
৭৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেটের স্বাদ পান নাসির হোসেন।
তবে প্রথম ইনিংসের মতো ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাসির দ্বিতীয় ইনিংসেও। ব্যর্থ তার সতীর্থরাও। বাঁচিয়ে দিয়েছে তাদের বৃষ্টি।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচও হার মেনেছে বৃষ্টির কাছে। আগের দিনের মতো শেষ দিনেও খেলা হয়নি কক্সবাজারে। চারদিনের ম্যাচের তিন দিনই খেলা হলো না ঢাকা বিভাগ ও বরিশালের ম্যাচে। দ্বিতীয় দিনে ২ উইকেটে ৩০৯ রান করেছিল ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: ৪৭১
খুলনা ১ম ইনিংস: ১৩৮.৪ ওভারে ৪৯৫/৯ (ডি.) (আগের দিন ৩৪২/৪)(এনামুল ২১৬, তুষার ৫৪, জিয়াউর ৩১, মাশরাফি ৬, আশিকুজ্জামান ১২, আল আমিন ৪*; সাজেদুল ০/৬২, সাদ্দাম ০/৩৭, আরিফুল ০/৩৪, সঞ্জিত ০/৭৫, সোহরাওয়ার্দী ২/১৩৮, মাহমুদুল ১/৫০, নাসির ৫/৭০, নাঈম ১/৯)।
রংপুর ২য় ইনিংস: ৮ ওভারে ৩৭/৪ (সায়মন ০, জাভেদ ২৭*, নাসির ৫, মাহমুদুল ০, আরিফুল ০, নাঈম ১*; আল আমিন ১/২৪, মাশরাফি ১/১২)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: এনামুল হক