শফিউলকে ফেরাল ফিটনেসের উন্নতি আর ইংল্যান্ডের ঠাণ্ডা

বোলিং নিয়ে প্রশ্ন সামান্যই। শফিউলকে নিয়ে নির্বাচকদের মূল ভাবনা ফিটনেস নিয়ে। এই ভালো তো এই খারাপ; হুট করেই ভেঙে পড়া। দলে তাই অনিয়মিত শফিউল। তবে এবার শফিউলের ফিটনেসের অবস্থায় আপাতত সন্তুষ্ট নির্বাচকরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2017, 10:29 AM
Updated : 20 April 2017, 03:28 PM

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ তো বটেই, ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও জায়গা পেয়েছেন শফিউল। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই পেসার শুভাশীষ রায়।

গত কিছুদিন ধরে দলে আসা-যাওয়াই শফিউলের নিয়তি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলেছেন। দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হলো চোট নিয়ে দুর্ভাবনায়। বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন, কিন্তু শেষ দিকে বাধালেন চোট। যেটির কারণে যেতে পারলেন না নিউ জিল্যান্ড সফরে।

ভারত সফরের স্কোয়াডে ছিলেন। হায়দরাবাদে প্রস্তুতি ম্যাচে খেললেও খেলতে পারেননি টেস্টে। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে আবার বাদ। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল, নিজেকে টানা ফিট রাখতে পারেন না শফিউল। শ্রীলঙ্কার প্রচণ্ড গরমে ভেঙে পড়ার শঙ্কাও ছিল।

এই পুরো সময়টায় নির্বাচকরা বারবারই বলেছেন, বোলিং স্কিলে দেশের সেরা পেসারদের একজন শফিউল। আপত্তি ফিটনেস নিয়ে। এখন তার ফিটনেসে খুশি প্রধান নির্বাচক। জানালেন, ইংল্যান্ডের কন্ডিশনও একটা ব্যাপার।

“বিপিএলে ইনজুরিতে না পড়লে ও আমাদের অনেকগুলো সিরিজেই দলে থাকত। তাছাড়া ম্যানেজমেন্ট থেকে কিছু নেতিবাচক মনোভাব ছিল যে টানা ম্যাচ খেলা ওর জন্য কঠিন হয়ে যায়। তাই ওকে আমরা শ্রীলঙ্কায় নেইনি। কারণ শ্রীলঙ্কায় অনেক গরম ছিল, ওখানে টানা ম্যাচ খেলা ওর জন্য কঠিন ছিল। এখন ওর ফিটনেস লেভেল ঠিক আছে। আর যেহেতু ঠাণ্ডা কন্ডিশনে খেলব, সেহেতু ও টানা ম্যাচ খেলতে পারবে।”

আয়ারল্যান্ডে একটিই ওয়ানডে খেলেছেন শফিউল। ২০১০ সালে সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। ওই সফরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে জয়ে নিয়েছিলেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।