ঠিক মতো হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে না উঠতেই প্রথম টেস্টে খেলেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলার পথে দুই হাতেই একটি করে আঙুলে চোট পান অধিনায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসেও টানা সেই শর্ট বলই সামলাতে হয় মুশফিককে। দুয়েকবার অল্পের জন্য আবার চোট পাননি। প্রতিটি বল খেলার পর হাতল থেকে ছুটে যাচ্ছিল ডান হাত। শেষে টিম সাউদির শর্ট বল হেলমেটে লাগলে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
মুশফিকের অনুপস্থিতিতে প্রায় দেড়শ’ ওভার কিপিং করেন ইমরুল কায়েস। এরপরই নামেন ব্যাটিংয়ে। শরীর অতটা সয়নি। চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে চতুর্থ দিন মাঠ ছাড়তে হয় এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে। পরের দিন দলের প্রয়োজনে যখন ব্যাটিংয়ে নামতে হল তখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না।
শিষ্যদের এই প্রচেষ্টায় মুগ্ধ হাথুরুসিংহে, “এটা খুব সাহসী কাজ ছিল। স্ট্রেচার করে মাঠ ছাড়ার পর ইমরুল কয়েক ওভার ব্যাট করল। বুড়ো আঙুলে চোট নিয়েও মুশফিক ব্যাটিংয়ে গেল। এটাই দেখিয়েছে তাদের দেশপ্রেম কতটা।”