হ্যাগলি ওভালের ড্রেসিং রুম থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়ল যে আনন্দ চিৎকার, সেটির রেশ সবার ভেতরে আছে তো? বাইরে থেকে দেখা ও নানা বাস্তবতা বলছে, ভেতরে সুখ-স্বস্তি আছে সামান্যই।
হারের বোঝায় নুয়ে পড়া দল আরও জেরবার চোটের ছোবলে। মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের চোট নিয়ে কোনো সুখবর নেই। কেবল প্রবল শঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে আরও।
মুশফিকের বাঁহাতের বুড়ো আঙুলের ব্যথা কমেনি। মাথার আঘাতটা আর কোনো সমস্যাই করেনি গত দুদিনে। এটি নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু আঙুলের ব্যথা নিয়ে খেলা মুশকিল। তাছাড়া সামনে আরও অনেক ম্যাচ। এই আঙুলে আবার আঘাত লাগলে ছিটকে যেতে পারেন অনেকদিনের জন্য।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তাই অধিনায়কের খেলার সম্ভাবনা সামান্যই। শেষ পর্যন্ত যদি নাটকীয় কোনো সিদ্ধান্তে খেলেই ফেলেন মুশফিক, উইকেটকিপিং নিশ্চিতভাবেই করবেন না। আরেক উইকটকিপার নুরুল হাসান সোহানের টেস্ট অভিষেক তাই একরকম নিশ্চিত।
ইমরুলের চোট নিয়ে কোচ চন্দিকা হাথরুসিংহে জানালেন, খেলার সম্ভাবনা ৫০-৫০। বুধবার মাঠে আসলেও হাঁটতে একটু সমস্যা হচ্ছিলো বাঁহাতি ওপেনারের। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্ভাবনা এখনও আছে বলা হলেও তাই ধরেই নেওয়া যায় খেলতে পারবেন না ইমরুল। স্কোয়াডে ওপেনিং করার মত বিকল্প আছে কেবল সৌম্য সরকার।
একটা সুখবর অবশ্য শুনিয়েছে কোচ। মুমিনুল হকের পাঁজরের চোটের অবস্থা বেশ ভালো। ক্রাইস্টচার্চে তার খেলা নিয়ে সংশয় আপাতত কিছু নেই।
তবে শঙ্কার ভিড় এতটাই যে মুমিনুলকে নিয়ে স্বস্তি সেখানে খুব বেশি দোলা দিতে পারছে না। বেসিন রিজার্ভের চেয়ে হ্যাগলি ওভালের উইকেট আরও সবুজ হওয়ার কথা। ওখানে যেমন সবুজের আড়ালে হেসেছে রান, এখানে সবুজের আড়ালে উইকেটের হাতছানি।
শরীরের চোট প্রভাব ফেলেছে তাদের মনে। এমন কন্ডিশনে দলের নিয়মিত ওপেনার ও মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য একজনকে না পাওয়া মানে ম্যাচের আগেই পরাজয়ের আয়োজন মোটামুটি সেরে ফেলা। মনোবল একদমই তলানিতে।
সবুজ উইকেট, কঠিন প্রতিপক্ষ, নিজেদের দলে চোটের থাবা, হারের ধাক্কা, ভগ্ন হৃদয়, সব মিলিয়ে যে ছবিটা দাঁড়াচ্ছে, ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের জন্যও আশার ছবিটা আপাতত বেশ ঝাপসা!