দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯৭ রান। কুইন্টন ডি কক ৬৮ ও কাইল অ্যাবট ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
৭টি চারে গড়া ৯০ বলের ইনিংস খেলার পথে টেস্টে নিজের রান চার অঙ্কে নিয়ে যান ২৪ বছর বয়সী ডি কক। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের হাজার রানে পৌঁছতে লেগেছে ২৩ ইনিংস।
নিউল্যান্ডসের সবুজ উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুককে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সুরঙ্গা লাকমলের একটু বাড়তি বাউন্স পাওয়া বলে উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
৬৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন এলগার ও আমলা। দারুণ এক ডেলিভারিতে আমলাকে বোল্ড করার পর সেই ওভারেই শূন্য রানে দুমিনিকে বিদয় করেন লাহিরু কুমারা।
হঠাৎ ছন্দ হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে কক্ষে ফেরাতে অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন এলগার। স্বাগতিকদের এই প্রতিরোধ ভাঙেন রঙ্গনা হেরাথ। দু প্লেসিকে ফিরিয়ে উইকেট শিকারের দিক থেকে চামিন্দা ভাসকে স্পর্শ করেন লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে টেস্টে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫৫টি করে উইকেট ভাস ও হেরাথের। ৭৯৫ উইকেট নিয়ে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে কিংবদন্তি অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন।
আঁটসাঁট ব্যাটিং টেকনিকের টেম্বা বাভুমাকে ফেরান কুমারা। শেষ দিকে এলগারকে ফিরিয়ে তার সঙ্গে ডি ককের ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন লাকমল। উইকেটরক্ষক মেন্ডিসকে ক্যাচ দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান করেন ১২৯ রান। তার ২৩০ বলের ইনিংসটি গড়া ১৫টি চারে।
ফিফটিকে শতকে পরিণত করার হার দারুণ এলগারের। পঞ্চাশ ছোঁয়া ১০ ইনিংসের ৬টিকেই তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন তিনি।
দিনের বাকি সময়টুকু অ্যাবটকে নিয়ে নিরাপদেই কাটিয়ে দেন ডি কক। দলকে চারশ’ রানে নিয়ে যেতে তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা।
৮৬ রানে তিন উইকেট নেন শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার কুমারা। লাকমল ২ উইকেট নেন ৬৯ রানে।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯৭/৬ (কুক ০, এলগার ১২৯, আমলা ২৯, দুমিনি ০, দু প্লেসি ৩৮, বাভুমা ১০, ডি কক ৬৮*, অ্যাবট ১২*; লাকমল ২/৬৯, প্রদিপ ০/৪৬, ম্যাথিউস ০/৩০, কুমারা ৩/৮৬, হেরাথ ১/৩৪, ডি সিলভা ০/৩০)