রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের ৭ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জানান, নিজের শেষ ওভারটি তার কাছে একটি টার্নিং পয়েন্ট।
আফগানদের শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। ৫ উইকেট হাতে থাকা অতিথিরা তাকিয়ে ছিল মোহাম্মদ নবি ও আসগর স্তানিকজাইয়ের দিকে।
শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণে যাওয়া নবি সাকিবের করা ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন। আগের ওভারে উইকেটে নেমেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মিডউইকেট দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকানো স্তানিকজাইকে স্পিন জাদুতে বেধে রাখেন সাকিব। টানা পাঁচ বলে নিতে দেননি কোনো রান। এর মধ্যে ওভারের তৃতীয় বলে স্তানিকজাইয়ের ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ যায় মুশফিকুর রহিমের কাছে। সেই ক্যাচ নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক।
সাকিবের সেই আঁটসাঁট ওভার আফগানদের সমীকরণ কঠিন করে ফেলে। ৩ ওভারে ২৭ রানের সেই সমীকরণ মেলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় স্তানিকজাইয়ের দল।
সাকিবের আরেকটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ম্যাচের ৪১তম ওভারে। বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়িয়ে ১৪৪ রানের জুটিতে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন রহমত শাহ-হাশমতুল্লাহ শাহিদি। আফগানদের এই প্রতিরোধ ভেঙে স্বাগতিকদের জাগিয়ে তুলেন সাকিব।
সাকিবের বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড রহমত।
“আমার কাছে মনে হয়, ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আমার ওই এক ওভারে ১ রান দেওয়া আর ওদের অনেক বড় একটা জুটির পর আমার ব্রেক থ্রু দেওয়া।”
সাকিবের সেই উইকেটেই বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, যার শেষ তাসকিন আহমেদের অসাধারণ দুই ওভার আর মাঝে রুবেল হোসেনের চমৎকার এক ওভারে।