টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে বেশ আগে থেকেই সাকিব বাংলাদেশের সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচে উঠে গেলেন ওয়ানডের চূড়ায়ও। ছাড়িয়ে গেলেন আব্দুর রাজ্জাককে।
২০৭ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন এতদিন রাজ্জাক একা। রোববার নিজের তৃতীয় বলেই আফগানিস্তানের শাবির নুরিকে এলবিডব্লিউ করে সাকিব ছুঁয়ে ফেলেন রাজ্জাককে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্পেলে উইকেট ছিল ওই একটিই। তৃতীয় স্পেলে রহমত শাহকে ফিরিয়ে ভাঙেন আফগানদের বড় জুটি। একার করে নেন রেকর্ড।
টেস্টে সাকিবের শিকার ১৪৭টি, দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ রফিকের ১০০টি। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। তার পরে থাকা রাজ্জাকের শিকার ৪৪টি।
জাতীয় দলে বিতর্কিতভাবে উপেক্ষিত থাকায় রাজ্জাকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আপাতত আছে থমকে। ওয়ানডেতেও তাই সাকিব ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়াটা কেবলই সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশের হয়ে ২০৩ উইকেট নিয়ে মাশরাফি অবশ্য তাড়া করছেন সাকিবকে। তবে মাশরাফির চেয়ে সাকিবের ক্যারিয়ার অনেক লম্বা হবে প্রায় নিশ্চিতভাবেই।
সাকিবের অর্জন অবশ্যই দারুণ। তবে এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব ২০০৫ সালে। গ্রেটদের অনেকেই খেলতে পারেনি এই সংস্করণ।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট আছে আরও সাত জনের বাংলাদেশের এখনকার বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ, পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, ভারতের অনিল কুম্বলে, দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক, ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিক। মুত্তিয়া মুরালিধরনদেশের তো শ্রীলঙ্কার হয়ে তো বটেই, দুটিতেই বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী।
এই বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন কেবল তিনজন। তাদের দুজন, মুরালিধরন ও শন পোলক আবার টি-টোয়েন্টি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষ বেলায়, দুজনই খেলেছেন ১২টি করে। অ্যান্ডারসনও খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৯টি।
তাতে অবশ্য সাকিবের অর্জনের মাহাত্ম্য কমছে না। অন্যদের না খেলা তো তার নিয়ন্ত্রণে নেই! নিজে যেটি পারতেন, সেটি করেই উঠেছেন গৌরবের চূড়ায়। তিন সংস্করণেই দেশের সেরা!