রবি ফাস্ট বোলিং হান্টে সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার হয়ে কিছু দিন আগে আলোচনায় আসেন ইবাদত। মৌলভীবাজারের ছেলে চাকরি করেন বিমান বাহিনীতে। তবে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ছোট থেকেই। ২০১৪ সালে সিটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ঢাকার প্রথম বিভাগে।
পেসার হান্টে গতি দিয়ে নজর কেড়েই জায়গা করে নিয়েছেন চলতি হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডে। গতি দিয়েই নজর কেড়েছেন এক সপ্তাহের ক্যাম্প পরিচালনা করতে আসা আকিব জাভেদের। আকিবের বিশ্বাস, ফিটনেস ভালো করতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সম্পদ হতে যাচ্ছেন এবাদত।
বৃহস্পতিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইবাদত জানালেন, তাকেও একই কথা বলেছেন আকিব।
“তিনি আমার শারীরিক গঠন দেখে বুঝতে পারেননি যে আমি এতো জোরে বল করতে পারি। উনি আমাকে বলেছেন যে আমার স্ট্রেংথ কম। আজকে সকালে আমাকে বলেছেন, ‘তুমিতো আসলে জিনিয়াস, এই শরীর নিয়ে এতো জোরে বল করতে পারো। যদি পেশি আরেকটু গড়ে ওঠে, তাহলে আরও জোরে বল করতে পারবে।”
ইবাদতের দাবি, তার সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড হয়েছে ঘণ্টায় ১৩৯.৯ কিলোমিটার। আকিব সংবাদমাধ্যমেও বলেছেন এবাদতের সম্ভাবনার কথা।
এইচপির ক্যাম্প শেষে এবাদতকে আবার বিমান বাহিনীতে ফিরতে হবে, অনুশীলন বন্ধ হওয়ার শঙ্কা আছে, এটা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন আকিব। ইবাদত জানালেন, অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন তিনি নিজেও।
“আমি এয়ারফোর্সে চাকরি করি, তারা শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিল। যখনই ছুটির দরকার ছিল, বা বিসিবি ডেকেছে বা কোথাও খেলতে গিয়েছি, তারা আমাকে সাহায্য করেছে। এখানে আসার পর, আট সপ্তাহ নয় সপ্তাহ অনুশীলনের পরে মনে হচ্ছে ক্রিকেটের টাচে থাকতে হবে।”
“আমার মনে হয় এয়ারফোর্স আমাকে সাহায্য করবে। আর এখানে থেকে আমি একটি চিঠি নিয়ে যাব, যাতে আমি নিয়মিত এখানে আসতে পারি, জিম করতে পারি বা ট্রেনারদের সঙ্গে কথা বলতে পারি, ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পারি।”
সহজাত গতিময় পেসার এমনিতেই বাংলাদেশে বিরল। ইবাদতের গতি হয়তো গতিময় করতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই। দায়িত্বটা এখন বিসিবির।