আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে পরাজয়ের দুয়ার থেকে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স।
১৫৯ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই কোহলিকে হারায় বেঙ্গালুরু। তার সামনে হাতছানি ছিল টুর্নামেন্টে হাজার রান ছোঁয়ার। কিন্তু অতিমানবীয় রানযাত্রায় অবশেষে পড়ল ‘ল অব অ্যাভারেজ’ খড়্গ। কুলকার্নির অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্টাম্পে টেনে আনলেন কোহলি।
পরের ওভারে কুলকার্নি টানা দুই বলে ফেরান গেইল (৯) ও লোকেশ রাহুলকে (০)। শেন ওয়াটসনকে (১) ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। কূলকার্নি আরও এক ব্যাটসম্যানকে ফেরান খালি হাতে (শচিন বেবি)। বেঙ্গালুরুর রান তখন ৫ উইকেটে ২৯। ৩ ওভারে ৮ রানে ৪ উইকেট কুলকার্নির!
ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ে অবশ্য সেসবের প্রভাব পড়েছে সামান্যই। পঞ্চম উইকেটের পতনের পরপরই টানা দুই চার মেরেছেন জাদেজাকে। শাদাব জাকাতির এক ওভারে ১৮ রান নেন স্টুয়ার্ট বিনি। খানিক পর ১৫ বলে ২১ করে ফিরে যান বিনিও।
তবে দলের প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে যান ইকবাল আব্দুল্লাহ। বাঁহাতি স্পিনার ব্যাট হাতে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্সকে। দুজন মিলে টেনে নিয়ে যান ইনিংস। ৬ ওভারে যখন প্রয়োজন ৬৩, ডি ভিলিয়ার্সের তখনই শুরু খুনে আক্রমণের।
চোখধাঁধানো সব শট আর চার ছক্কার ঝড়ে উড়ে যায় ম্যাচে নাটকীয়তার সম্ভাবনা। জয় নাগালে দেখে শট খেলতে শুরু করেন আব্দুল্লাহও। বেঙ্গালুরু জিতে যায় ১০ বল বাকি থাকতেই।
৫টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে ডি ভিলিয়ার্স। ২৫ বলে ৩৩ আব্দুল্লাহ। সপ্তম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৫২ বলে ৯১ রানের।
বরাবরই আইপিএলের অন্যতম তারকা সমৃদ্ধ ও ব্যয়বহল দল গড়ে বেঙ্গালুরু। তবে সাফল্য এখনও অধরা। ২০০৯ ও ২০১১ সালে তারা হেরেছে ফাইনালে। তবে এবার কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সদের যা ফর্ম, তৃতীয়বারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই থাকুক না কেন ‘ফেভরিট’ থাকবে বেঙ্গালুরুই।