আইসিসিতে ‘মোড়লগিরির’ অবসানের প্রক্রিয়া শুরু

আইসিসিতে ক্ষমতাশালী তিন দেশের ‘মোড়লগিরির’ অবসান আনতে দুই বছর আগে সংবিধানে করা পরিবর্তনগুলো পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সংগঠনটির ক্ষমতায়নে বিসিসিআই, ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একতরফা কর্তৃত্বে ইতি টানতে কাজও শুরু হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2016, 03:16 PM
Updated : 4 Feb 2016, 03:16 PM

বুধবার আইসিসি বোর্ড সভায় সংস্থাটির সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি বিভাগ নির্বাহী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি থেকে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা হয়। 

আইসিসি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৪ সালে করা সংবিধানের পরিবর্তনগুলো পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে বোর্ড। নীতি নির্ধারণ, অর্থ, বানিজ্য ও ক্রিকেট অবকাঠামোতেও প্রয়োজনীয় ও যথাযথ পরিবর্তন আনতে চায় বোর্ড।

বিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি ও আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি নতুন এই প্রস্তাবের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। ২০১৪ সালে আনা সংবিধানের ওই সংশোধনীর সব কিছু পুনর্বিবেচনা শেষে আগামী জুনে আইসিসির বার্ষিক সভায় এর সুপারিশ করবে।  

গত বছর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েই আইসিসির ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতার সমালোচনা করেন মনোহর। সব ক্ষমতা তিন দেশের কুক্ষিগত করাটা মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন। পুরো প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিষয়গুলো নিয়ে তখনই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান জাইলস ক্লার্কসহ আইসিসির আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন মনোহর। সবার একমত হওয়ার কথাও তিনি জানান।

সংবিধানের সংশোধনী পুনর্বিবেচনায় কাজ করতে যাওয়া পাঁচ সদস্যের কমিটিতে জাইলস ক্লার্কও আছেন। বাকি তিন জন হলেন আইসিসির গভর্নেন্স রিভিউ কমিটির প্রধান নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির প্রধান ডেভিড পিভার ও সহযোগী সদস্য গ্রুপের প্রধান অ্যান্ড্রু আর্মিটেজ।