রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বরিশাল। সেই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকে শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রান করে দলটি। পরে কেভন কুপার-মোহাম্মদ সামির দারুণ বোলিংয়ে ১৩ রানে জেতে দলটি।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। এবার আল আমিন হোসেন ও তাইজুল ইসলামের নৈপুণ্যে সিলেট সুপার স্টার্সকে ১ রানে হারায় তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং নিয়ে নিজের দুর্ভাবনার কথা জানান মাহমুদউল্লাহ, “প্রথম দুই ম্যাচে আমাদের জিতিয়েছে বোলাররা। এখন ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে।”
প্রতিপক্ষকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর জয় মাহমুদউল্লাহর কাছেও অপ্রত্যাশিত।
“শুরুতে উইকেট নিতে পারলে ওদের চাপে ফেলানো যাবে জানতাম। আল আমিন আজ অসাধারণ বোলিং করেছে সেটা আমরা সবাই দেখেছি। তাইজুলও দারুণ বোলিং করেছে। ওদের জমে ওঠা একটি জুটি ভেঙেছে সে।”
“তাইজুল যখন মুনাবির ও ওয়াইজ শাহকে আউট করল তখন মনে হয়েছিল আমাদেরও সুযোগ আছে। পরে তাইজুল খুব ভালো একটা ক্যাচ ধরলো, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
আল আমিনের বলে ‘ছক্কা মিলন’ নামে পরিচিত নাজমুল হোসেনের ক্যাচ তাইজুল তালুবন্দি করলে বরিশালের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর ফিদেল এডওয়ার্ডস চেষ্টা করলেও দলের ১ রানের হার এড়াতে পারেননি।
দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে খুশি মাহমুদউল্লাহ। সামি-আল আমিন-কুপারে গড়া পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। সেকুগে প্রসন্ন আর তাইজুলে গড়া স্পিন আক্রমণ বোলিং বিভাগের বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে। তাদের লড়াইয়ের পুঁজি দিতে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় সংগ্রহ চান অধিনায়ক।