প্রথম চার টেস্টের তিনটিই জিতে আগেই অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। তারা সিরিজ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। এই ব্যবধানে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জিতেছিল সবশেষ সেই ১৯০২-০৩ মৌসুমে।
সিরিজের কোনো ম্যাচই পাঁচ দিনে গড়ায়নি। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ৫ ম্যাচের সিরিজে একটি টেস্টও গড়াল না পঞ্চম দিনে!
ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সংশয় ছিল না খুব একটা। ইংল্যান্ড লড়ছিল ইনিংস পরাজয় এড়াতে। অস্ট্রেলিয়াকে আরেকবার ব্যাট করাতে দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১২৯ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে দিনের শুরুতেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মার্ক উডকে ফেরান (৬) পিটার সিডল, জস বাটলারকে (৪২) ফেরান মিচেল মার্শ।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৪৮১ রান। জবাবে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৪৯ রানে। অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলো অন করান ক্লার্ক।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের পর প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে জিতল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে ইনিংস ব্যবধানে সবশেষ তারা জিতেছিল ২০০৯ সালের হেডিংলি টেস্ট।
নেতৃত্বের ৪৭ টেস্টে ২৪ জয় নিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাইকেল ক্লার্ক।
এই টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ক্রিস রজার্সও।