কৃতিত্ব ফিজিও-ট্রেনারেরও

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ মৌসুমের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে বাংলাদেশ। এই লম্বা মৌসুম জুড়ে ক্রিকেটারদের ফিট, চনমনে ও মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার বড় একটা কৃতিত্ব ফিজিও ও ট্রেনারকে দিলেন তামিম ইকবাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 10:47 AM
Updated : 28 July 2015, 10:47 AM

বাংলাদেশের ২০১৪-১৫ আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু হয়েছে গত অক্টোবরে। দেশের মাটিতে প্রথমবার তিন টেস্টের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এরপর খেলেছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের গত বিশ্বকাপের আগে দেশে ও ব্রিসবেনে ছিল দীর্ঘ ক্যাম্প। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত। সেটার রেশ থাকতে থাকতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও এক টি-টোয়েন্টি। ভারতের বিপক্ষে ছিল একটি টেস্ট ও তিন ওয়ানডে।

এরপর শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ; দুই টেস্টের সিরিজের শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে বৃহস্পতিবার। প্রথমবারের মত জুন-জুলাই-অগাস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সহজাত অ্যাথলেট নয়। এতটা টানা খেলে যাওয়ার ধকল নেওয়ার অভ্যাসও নেই। এই দীর্ঘ মৌসুম তাই তামিম-মুশফিকদের জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ফলাফল বলছে, সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই জিতেছেন ক্রিকেটাররা। চোট-আঘাত তাদের খুব বেশি কাবু করতে পারেনি। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও ছুঁতে পারেনি খুব একটা।

ক্রিকেটাররা এজন্য প্রশংসা পাচ্ছেনই। তবে তামিম মনে করিয়ে দিলেন আড়ালের নায়কদের কথাও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট দিয়ে শেষ হচ্ছে মৌসুম। এর আগে মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ণ ও ফিজিও বায়োজিদ আহমেদ খানের জন্য স্তুতি ছিল তামিমের কণ্ঠে।

“আমাদের ফিজিও-ট্রেনারের বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। তারা আমাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। একেক দিন একেক রকম অনুশীলন করিয়েছেন, যাতে ক্লান্তি ও বিরক্তি না আসে। আমরা সবাই এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুশীলন করি। ট্রেনিং, মিটিং আমরা উপভোগ করি।”

তামিমের মতে, এইসব কিছু উপভোগ করতে পারাই দলের সাফল্যের বড় কারণ, “যে কোনো বিষয় উপভোগ করতে পারলে সেটার ফল ভালো হয়। এই বছরের আগে আমরা এতটা ধারাবাহিক সাফল্য পাইনি। এ বছর সেটা পেরেছি। দলের প্রতিটি ক্রিকেটার সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। সবাই সাফল্য চায়। এখনও আমরা জানি, আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। সেটা সবার মাথায় আছে।”