শাবির দুই বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ

উপাচার্য ও এক ডিনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ তুলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করেছেন।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2015, 12:09 PM
Updated : 13 April 2015, 01:12 PM

এ ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্য ভবনে চার ঘণ্টা তালা দিয়ে অবস্থান করেছে ওই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শরীফ মো. শরাফ উদ্দিন।

রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনের কাছে সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে এ দুই শিক্ষক নিশ্চিত করেন।   

তবে, এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

অধ্যাপক শরীফ মো. শরাফ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জহির বিন আলম রোববার সকালে একাডেমিক ভবন ‘এ’ তে এসে পদার্থ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের শিক্ষকদের গালাগাল করেন।

ওই সময় কয়েকজন শিক্ষক তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন।

এরপর উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তাকে জানাতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক তিনবার ফোন করলেও উপাচার্য দেখা করার সময় দেননি।

শরাফ উদ্দিন আরও জানান, পরে বিকাল সাড়ে ৪টায় দুই বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করে কক্ষ থেকে বের করে দেন।

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, একজন ডিন তো ইচ্ছে করলে অফিসে এসে শিক্ষকদের গালাগাল করতে পারেন না। এর আগেও ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।

ওই সময় পাঁচ বিভাগীয় প্রধান তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করায় তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করেননি উপাচার্য।

“উপাচার্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে উনি আবার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেন।

“আমরা এত্তগুলো শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম অথচ তিনি আমাদের অপমান করলেন।”

এদিকে দুই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ওই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে এ ঘটনার সুরাহা করার আশ্বাস দিরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান তুলে নেন। অন্যথায় আবার আন্দোলন শুরু হবে।

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হত ভূইয়া বলেন, “সমস্যা সমাধানে আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমার আচরণ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।”