‘লন্ডনে অচেনা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার ভাবুন’

লন্ডনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে একশ’ বাংলাদেশির শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে, যা যুক্তরাজ্যের অচেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়ার নতুন নজির তুলে ধরল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2014, 08:00 PM
Updated : 11 March 2014, 08:00 PM

এই একশ’ শিক্ষার্থী চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কোর্সে (সিআইএমএ) পড়াশোনা করছিলেন, যা পরিচালনা করে লন্ডন স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলএসবিএফ)।

ওয়েলসের গ্ল্যান্ডর ইউনিভার্সিটির অধীনে এলএসবিএফের ওই কোর্সটির প্রথম বর্ষে ৩২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন, যার একশ’ জন বাংলাদেশি। 

এখন এলএসবিএফের সঙ্গে ইউনিভার্সিটিটির চুক্তি বাতিল হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হিসাবশাস্ত্রে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন।

শিক্ষার্থীরা জানান, পুরো কোর্সটি শেষ করতে ৮ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড খরচ পড়ে। এর মধ্যে প্রথম বর্ষের নির্ধারিত ফি তিন হাজার পাউন্ড। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পরপরই পুরো কোর্স ফি নেয় গ্ল্যান্ডর বিশ্ববিদ্যালয়।

একবছর পড়াশোনার পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, এলএসবিএফের সঙ্গে ওই কোর্সের চুক্তি বাতিল করেছে গ্ল্যান্ডর ইউনিভার্সিটি।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কামরুন নাহার শাহানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রথমবর্ষ শেষ করার পর হঠাৎ করেই  বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের স্পন্সরশিপ প্রত্যাহার করে নেয়। 

“যদিও শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে তাদের ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া ঠেকাতে পেরেছেন।”

তিনি জানান, জানুয়ারি মাসে একটি সাপ্তাহিকে প্রকাশিত খবরে জানতে পারেন যে গত বছরের মে মাসেই গ্ল্যান্ডর চুক্তি বাতিল করেছে, যখন তারা কোর্সে ভর্তি হয়েই গেছেন।

কিন্তু এ বিষয়টি এলএসবিএফের কর্তৃপক্ষ গোপন করে গেছে বলে অভিযোগ করেন শাহানা।

লন্ডনের টাইমস হায়ার এডুকেশন নামের একটি শিক্ষা বিষয়ক পত্রিকা গ্ল্যান্ডর ইউনিভার্সিটির মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, শিক্ষার্থীদের যারা শর্ত পূরণ করেছেন তারা যেন চুক্তি অনুযায়ী টায়ার ফোর স্পন্সর বজায় রাখতে পারেন সে প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদের ভর্তি বা স্পন্সরশিপ বাতিল হবে।

ভবিষ্যতে কোর্সগুলো ল্ন্ডনে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে নেয়া হবে বলেও জানান গ্ল্যান্ডরকর্তৃপক্ষ।

শাহানা বলেন, “আমরা তখন পুরো ফি দিয়েছি এ কারণে যাতে আমরা পড়শোনা চালিয়ে যেতে পারি। কিন্তু এখন আমরা কোর্সের মাঝখানেই বিপদে পড়েছি।”

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই সমস্যার বিষয়ে আইন বিষয়ক পরামর্শক সৈয়দ সাইদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  আসলে এলএসবিএফের ৫০ ছাত্র নিয়ে কোর্স চালানোর কথা ছিল।

“আর শিক্ষার্থীরা অর্থ দিয়েছে এলএসবিএফকে, সরাসরি গ্ল্যান্ডরকে নয়।”

আর এই বিষয়ে এলএসবিএফ মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।