সোমবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে হলের ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ভবনে (উত্তর বাড়ি) তল্লাশি চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে হঠাৎ করেই হল প্রশাসন হলের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের ফটক দুটি বন্ধ করে দেয়। এরপর প্রভোস্টের নেতৃত্বে উত্তর বাড়ির প্রতিটি কক্ষে গিয়ে ছাত্রদের পরিচয়পত্র দেখতে চান শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এ সময় পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় অর্ধ শতাধিক সাবেক ছাত্র ও বহিরাগতকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক অসীম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযান হঠাৎ করে হয়নি। অনেকদিন আগে থেকেই তাদের সতর্ক করে রুমে রুমে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।”
অসিম সরকার জানান, হলের ১৫৮ নম্বর কক্ষে পাওয়া গেছে ‘তিয়াস ওয়াটার পাম্পের’ একজন কর্মচারীকে। ১৪২ নম্বর রুমে থাকতেন বঙ্গবন্ধু হলের ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
এছাড়া ১২১, ১২২, ১৩১, ১৪৩, ১৫৪সহ মোট ১২টি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এ সব কক্ষে বহিরাগতরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন বলে প্রভোস্ট জানান।
তিনি বলেন, “উত্তর বাড়ি ভবনে বহিরাগতরা অবৈধভাবে থাকছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের চিহ্নিত করে বের করে দেয়া হয়েছে।
এরপরও কোনো বহিরাগতকে হলে পাওয়া গেলে তাকে পুলিশে দেয়া হবে বলে সতর্ক করেন প্রভোস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুধু জগন্নাথ হল নয়, ছেলেদের প্রতিটি হলেই বহিরাগতরা অবৈধভাবে অবস্থান করছে বলে খবর আছে। পর্যায়ক্রমে সব হলেই তল্লাশি চালানো হবে।