বুধবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান জোট নেতারা। এর আগে জোটের ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গেস্টরুমে ছাত্র হয়রানি বন্ধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফিজুর মোল্লা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে’ ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে একই দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আগামী শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সংহতি সমাবেশ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
গণমাধ্যমের খবর, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুরকে (১৯) থাকতে হত সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলের বারান্দায়, গভীর রাতেও তাকে যেতে হতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। এর ধকল সইতে না পেরে নিউমোনিয়া ও টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে চলে যান গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় ভালো চিকিৎসার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রওনা দেন; তবে পথেই মারা যান তিনি।
তবে, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাফিজুর অসুস্থ ছিলেন আগে থেকেই।
রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে অভিযোগ করে সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকি আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। হাফিজ মোল্লার মৃত্যুর দায়ভার কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না।”
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল বলেন, “ক্যাম্পাসে অবাধ দখল, লুণ্ঠন আর সন্ত্রাস আরও পাকাপোক্ত করতেই গেস্টরুম কালচার, মিছিলে যেতে বাদ্ধ করা ইত্যাদি চালু রাখছে সরকারি ছাত্র সংগঠন। প্রয়োজনে কোনো ছাত্রকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করছে না তারা।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে নানা বক্তব্য দিয়ে মূলত এসব সন্ত্রসীর পক্ষেই সাফাই গায়।”
আশরাফুল আলম সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর আহ্বায়ক ইকবাল কবির ও ছাত্র ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান।