গ্রাহকদের জন্য ‘দেয়ারখুশি’ বার্তা নিয়ে গ্রামীণফোন

দেশজুড়ে সবার সঙ্গে রমজান ও ঈদ উল ফিতরের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2015, 12:41 PM
Updated : 30 June 2015, 01:47 PM

‘দেয়ারখুশি’ নামে ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী হ্যান্ডসেট সংগ্রহ করবে এবং উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সহায়তায় দেশের দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে দান করে করবে।

মঙ্গলবার এই উপলক্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিপিহাউজে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় গ্রামীণফোন।

‘দেয়ারখুশি’ ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

গ্রামীণফোন জানায়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে তাদের পুরনো বা ব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যবহারউপযোগী হ্যান্ডসেট দেশজুড়ে অবস্থিত গ্রামীণফোন সেন্টারে দান করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

প্রাপ্ত প্রতিটি ডিভাইস গ্রামীণফোন মেরামত করে ব্র্যাকের কাছে তুলে দেবে। এই হ্যান্ডসেটগুলো পরবর্তীতে তরুণ ও উৎসাহী উদ্যোক্তা বা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিদেরকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে; সাথে থাকছে এক বছরের ফ্রি ইন্টারনেট সাবস্ক্রিপশন।

প্রাথমিকভাবে গ্রামীণফোনের দেওয়া ৫০০ হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইন শুরু হবে।

‘দেয়ারখুশি’ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে গ্রামীণফোনের হেড অফ মার্কেটিং নেহাল আহমেদ বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন সেই সব মানুষকে সাহায্য করতে চায় যারা নিজেরা হয়তো ইন্টারনেটউপযোগী হ্যান্ডসেট ব্যবহার করার সুযোগ পেতো না।

“মানুষের জীবন এবং সমাজে ইন্টারনেট অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এই উৎসব উপলক্ষে আমাদের উদ্যোগটির মাধ্যমে সবার জন্য ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাব আমরা।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের প্রতিনিধি আহমেদ নাজমুল হোসেন বলেন, “এই উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং আমাদের বিশ্বাস এই ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযোগী হ্যান্ডসেটগুলো প্রাপকদের জীবনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”

গ্রামীণফোনের ‘দেয়ারখুশি’ ক্যাম্পেইনটি দেশজুড়ে ঈদ উল ফিতর পর্যন্ত চলবে। গ্রাহকরা যে কোনো গ্রামীণফোন সেন্টারে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুলিপিসহ তাদের পুরনো ফোন দান করতে পারবেন।

হ্যান্ডসেট সংগ্রহের জন্য এছাড়াও গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে যাবে বলেও জানানো হয়।