বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় সোমবার এ সিদ্ধান্তের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে মে মাসে মূলধন বাড়াতে প্রথমবারের মতো এ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
অনুমোদনের পর মঙ্গলবার থেকে শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির।
তবে আইপিওর স্থগিতাদেশ চেয়ে এ ইন্সুরেন্স কোম্পানির করা আরেকটি আবেদন বিবেচনায় নিয়ে শেয়ার ছাড়ার আগের দিন এ স্থগিতাদেশ দেয় বিএসইসি।
তবে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত কোম্পানিটির আইপিও স্থগিত করা হয়েছে।
আইডিআরএর অভিযোগ, কোম্পানিটি অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ালেও তার জন্য অনুমোদন নেয়নি। তা ছাড়া কোম্পানির সংঘ স্মারক ও সংঘবিধিতে উল্লেখ করা মূলধনের সঙ্গে আইপিওর প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত মূলধনের মিল নেই।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইডিআরএর পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
এরপর বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোম্পানি ও তার ইস্যু ম্যানেজার তাদের কাছে যে নথিপত্র জমা দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে বিএসইসির কিছু করণীয় নেই। বিমা আইন লঙ্ঘন করে থাকলে কোম্পানির বিরুদ্ধে আইডিআরএ ব্যবস্থা নিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় আইডিআরএ। এরপর বিএসইসিতে আইপিওর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে এই ইন্সুরেন্স কোম্পানি।