ব্যাংক খাত থেকে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই আশঙ্কা জানায় ব্যবসায়ী সংগঠনটি।
ব্যাংক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও করপোরেট করহার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবকেও অভিনন্দন জানিয়েছে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে এক সভা থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে এই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে জানিয়ে তারা বলেছে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে না পারলে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ফাঁদ থেকে বের হতে পারবে না।
দেশে এখন বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিনিয়োগের হার আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ডিসিসিআই।
বিদ্যুৎ আমদানি না করে উৎপাদন বাড়ানোর উপর মনোযোগী হতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে ডিসিসিআই।
করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বাড়িয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশও করেছে সংগঠনটি।
সিগারেট শিল্পের উপর ৪৫ শতাংশ হারে একক কর ধার্য করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ দিচ্ছে তারা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করের হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনা, টেলিকম ও সিগারেট কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির করের হার ২৭.৫% থেকে ২৫% নামিয়ে আনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।
বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে ট্রেজারি বন্ড ও ট্রেজারি বিলের সুদের উপর ৫% উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রত্যাহরের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা।
অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের উপর কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে ডিসিসিআই।
তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর মূসক আরোপের বিরোধিতা করেছে তারা।