দাম কমেছে পেঁয়াজের, ছোলা-ডাল বাড়তি

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম খানিকটা কমেছে। তবে নতুন পেঁয়াজ বাজারে থাকা অবস্থায় যেরকম দাম দেখা যায় সে তুলনায় এখনও অনেক বেশি বলেই খেদ ক্রেতাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 01:51 PM
Updated : 29 May 2015, 01:51 PM

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় পাঁচ থেকে আট টাকা কম।

চলতি মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। নতুন পেঁয়াজ বাজারে থাকা অবস্থায় মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে এই নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এপ্রিলের ১৫ তারিখে বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পরে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত এর দাম ওঠে যায়।

আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের প্রধান প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যে এলসি খোলা হয়েছিল সেগুলো সময়মত দেশে আসেনি।

এ কারণেই দাম হঠাৎ করে বাড়াতে হয়েছিল বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কমেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দামে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরেও মিলছে আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ। এক সপ্তাহ আগে এসব পেঁয়াজ ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।   

এরপরও পেঁয়াজ নিয়ে শঙ্কা কাটছে না ক্রেতাদের। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে।

বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কেউ আছে বলে তিনি মনে করেন না।

“পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের দামই হঠাৎ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিছুদিন আগে। গণমাধ্যমে হৈ চৈ শুরু হলে দাম খানিকটা কমানো হলেও তা কখনও আগের অবস্থায় আসে না।”  

বাজার ঘুরে তার কথার সত্যতাও পাওয়া গেল। বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম। মসলা পণ্য আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

মোটা দানার মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা আর সরু দানার মসুর ডাল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এক সপ্তাহ আগে এই দুই ধরনের ডালই কমপক্ষে ৫ টাকা কমে কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা।

বর্তমানে মানভেদে আদা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আদা।

শ্যামবাজার কৃষি পণ্য আড়ৎ বণিক সমিতির সভাপতি মো. সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। এছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। যে কারণে দাম কমেছে। আশা করছি আরও একটু দাম কমবে।”

ছোলা ও ডালের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিবছরই এ সময় ডালের দাম বেশি থাকে। ডালের মৌসুম শেষ, তাছাড়া এই সময়ে ডালের চাহিদাও একটু বাড়ে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ছোলার দাম একটু বেড়েছে। এটাও আশা করছি কমবে।”

আদার দাম প্রসঙ্গে সাঈদ বলেন,“আদার দাম একটু বেড়েছে। কিন্তু সেটা উল্লেখ করার মতো না।”

রমজান উপলক্ষে ছোলা ও ডালের মজুদ হচ্ছে, সে কারণে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন খুচরা বিক্রেতারা।