সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী তাদের এই আশ্বাস দেন।
বারভিডার সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ শরীফ রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানি, গাড়ি আমদানি নিয়ে এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের ভাষা স্পষ্টকরাসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।
রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমাদানি হলে জ্বালানি খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও কমবে বলে বারভিডা নেতারা অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
মুহিত বলেন, “যেহেতু রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমাদানির সুযোগ দিলে সিএনজির উপর চাপ কমবে এবং হাইব্রিডে হাই মাইলেজ পাই... রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমাদানির সুযোগ এবার (বাজেটে) দেওয়া হবে।”
২০০৯ সাল থেকে সরকার ২৫০০ সিসি নতুন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াদ দিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত ৩০৯টি নতুন হাইব্রিড গাড়ি আমদানি হয়েছে বলে বারভিডা নেতারা জানান।
সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, “নতুন হাইব্রিড গাড়ি কিনতে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা লাগে বলে কেনাবেচা কম হয়। কিন্তু রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ি আমাদানির সুযোগ দিলে তা বেশ বিক্রি হবে।”
বর্তমানে একটি সাধারণ গাড়ি মানুষ যে দামে কিনতে পারে সেই দামেই রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি যেন জনগণ কিনতে পারে আসন্ন বাজেটে সেই সুযোগ রাখার দাবি জানান বারভিডা নেতারা।
এছাড়া বেশি আসনের বিশ্বমানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির অনুমোদন দেওয়াসহ এসব গাড়ি আমদানিতে শুল্ককর প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
আব্দুল হামিদ অর্থমন্ত্রীকে জানান, গাড়ি আমদানির সঙ্গে যুক্ত দুই একজন ‘দুষ্টু প্রকৃতির’ ব্যবসায়ী কর ফাঁকি দিলেও অন্যরা স্বচ্ছতার সঙ্গেই কর দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এনবিআরের কিছু প্রজ্ঞাপনে অস্পষ্টতা এবং গ্রে-এরিয়া থাকায় মাঠ পর্যায়ের শুল্ক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েন, সরকারও ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ছাড়াও বারভিডার অন্য নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।