বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ম্যাগির সঙ্গে বাজারে থাকা নিউজিল্যান্ড ডেইরির ‘ডুডুলস’; কল্লোল থাই ফুডের ‘মামা’; ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টের ‘ইফাদ এগি’ ও প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নাটোর এগ্রো লিমিটেডের ‘মিস্টার’ নুডুলসও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক গোলাম বাকী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাগি নুডলসের পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ করে রোববারই সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।”
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নিয়মিত পরীক্ষায় নেসলে ইন্ডিয়ার তৈরি দুই ডজন প্যাকেটের ইনস্ট্যান্ট নুডলসে উচ্চমাত্রার সীসা পাওয়ার পর বাজার থেকে পণ্যটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এফডিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, পরীক্ষা করা সবগুলো প্যাকেটের নুডলসে দূষণ ধরা পড়েছে। এতে ১৭ দশমিক ২ পিপিএম সীসা পাওয়া গেছে, যা অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে সাতগুণ বেশি।
শূন্য দশমিক শূন্য ১ পিপিএম থেকে ২ দশমিক ৫ পিপিএম পর্যন্ত সীসার উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য বলে জানান তারা।
এছাড়া বিজ্ঞানীরা নুডলসে স্বাদবর্ধক মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) উচ্চমাত্রায় পেয়েছেন।
নুডলস পরীক্ষার বিষয়ে জানতে নেসলে বাংলাদেশের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে কথা বলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাকীব খান বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি কথা বলবেন।
কোম্পানিটির এক মুখপাত্র বলেছেন, উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ এসেছে ২০১৪ সালের মার্চের আগে প্রস্তুত ম্যাগি নুডলস নিয়ে।
বাংলাদেশের কোনো পণ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় এ ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান থাকার কথা নয় বলে মনে করেন বিএসটিআইর সার্টিফাইড মার্ক (সিএম) বিভাগের পরিচালক কমল প্রসাদ দাস।
তিনি বলেন, “মাটিতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান থাকলে তা উৎপাদিত ফসল এবং সেই ফসল থেকে উৎপাদিত পণ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাটিতে এ ধরনের কোনো উপাদান (সীসা, এমএসজি) পাওয়া যায়নি।”