নতুন সিএমও ইয়াসির আজমান আগামী ১৫ জুন অ্যালান বঙ্কের স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নাগরিক ইয়াসির আজমানের ১৭ বছরের বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে এফএমসিজি এবং টেলিকম খাতে পাঁচ বছরের নির্বাহী ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে বিভিন্ন কোম্পানির নেতৃস্থানীয় পদে কাজ করেছেন ইয়াসির। ২০১৩ সালে টেলিনর গ্রুপের ডিস্ট্রিবিউশন ও ইবিজনেস এর প্রধান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর টেলিনরের সব অধীনস্ত কোম্পানির জন্য কৌশলগত ও উন্নয়নমূলক ভূমিকা পালন করেন তিনি।
পরিচালনা পরিষদে পরিবর্তন সম্পর্কে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “অ্যালান বঙ্কে গত তিন বছরে বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন এবং আমরা প্রতিষ্ঠানের মার্কেট শেয়ার ধরে রাখায় তার নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞ। আমার বিশ্বাস, ইয়াসির আজমান তার বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা, ভারত ও টেলিনর গ্রুপের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে পরিবর্তনের নতুন হাওয়া নিয়ে আসবেন এবং আমাদের বাজারের নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত রাখবেন।"
নবনিযুক্ত সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীণফোনকে তার ‘ইন্টারনেট ফর অল’ লক্ষ্য অর্জনের পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে প্রধান অংশীদারদের সাথে অধিকতর সহযোগিতা এবং বৃহত্তর ডিজিটাল জগতকে আবিষ্কার করতে চাই।"
২০১২ সালের অগাস্টে গ্রামীণফোনের সিএমও হিসেবে যোগ দেওয়া অ্যালান বঙ্কে টেলিনর গ্রুপে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আপাতত আঞ্চলিক দপ্তর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করবেন।
ইয়াসির আজমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন খাতে চাকুরি জীবন শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে টেলিনর গ্রুপের ম্যানেজমেন্ট স্তরে স্থান করে নেন।
২০০৭ সালে গ্রামীণফোনের বিক্রয় ও বিতরণ সংগঠন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি এবং পরবর্তীতে গ্রামীণফোনের হেড অফ ডিস্ট্রিবিউশন হিসেবে কাজ করেন।
ভারতের ইউনিনরে সার্কেল বিজনেস হেড এবং ইভিপি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে তিনি গ্রামীণফোনের পরিচালক সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিগত কয়েক বছর আজমান টেলিনর গ্রুপের হেড অফ ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ই বিজনেস হিসেবে ১৩টি ব্যবসায়িক ইউনিটের জন্য কাজ করার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও গ্রাহক কেন্দ্রিকতা ইত্যাদি নতুন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ অর্জন করেন এবং লন্ডন বিজনেস স্কুল ও আইএনএসইএডি আয়োজিত এক্সিকিউটিভ শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।