পাইরেসি রোধে অভিযান হবে: শিল্পমন্ত্রী

সংগীত, শিল্প ও সাহিত্যকর্মের মতো সৃজনশীল মেধাসম্পদের পাইরেসি রোধে দেশব্যাপী অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 07:05 PM
Updated : 27 April 2015, 02:58 PM

মেধাসম্পদের মালিকানা রক্ষায় গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, সাহিত্যিক ও নাট্যকারসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবার সহায়তা চান তিনি।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সংগীতের জন্য জেগে ওঠুন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান শাহনাজ নাসরিন ইলা।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও আলোকিত সমাজ নির্মাণে সরকার সৃজনশীল মেধাসম্পদ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। জাতীয় শিল্পনীতিতে নতুন উদ্ভাবন ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের মালিকানা সুরক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

“ইতোমধ্যে ডিপিডিটির কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রেডমার্কস্ ও কপিরাইট আইনের আধুনিকায়ন এবং জিআই ‘ল’ পাস হয়েছে। মেধাসম্পদের দ্রুত নিবন্ধন ও সুরক্ষা দিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশে একটি সমন্বিত মেধাসম্পদ অফিস প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।”

সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংগীতশিল্পখাত থেকে সরকার প্রতিবছর ২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী আয়োজিত বই মেলা থেকে প্রকাশক ও সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। চারু ও কারুশিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তিনি শিল্পীর প্রতিভার বিকাশে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সৃজনশীল মেধাসম্পদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংগীত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেধাসম্পদ। যুগ যুগ ধরে বাঙালি সমাজের সংস্কার ও উন্নয়নে সংগীত ভূমিকা রেখে চলেছে।

তারা লালনগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি-সারি, লোকগীতি ও লোকসংগীতকে এ দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তারা সংগীতসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পদের মালিকানা সুরক্ষা, উন্নয়ন ও বিকাশে একটি মেধাসম্পদ বিভাগ চালুর পরামর্শ দেন।