শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক সেমিনারে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতিতে সেবাখাতের অবদান ৫০ ভাগ।”
দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে এই খাতকেই ‘সম্ভাবনাময়’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেবা খাতে সযোগিতার সুযোগ’ শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ মোহাম্মদ, বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শ্রীলঙ্কা ফেডারেশন অফ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট অজিত ওয়াত্তুবা।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সেবাখাত ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো খাতগুলোতেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা ভারত এ অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সেবা খাতের উন্নয়নে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় সেবাখাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য ও সহযোগিতার বাড়ানোর জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমেদ, ভারতের শর্ষিস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা সেমিনারে অংশ নেন।
তিনদিনের সফর শেষে শনিবার তোফায়েল আহমেদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।